KHANDAGHOSH. ই টেন্ডার করেই সফলতা : বার্ষিক ২ কোটি টাকায় টোল আদায়কারী চিহ্নিত করলো পঞ্চায়েত

16th December 2021 11:45 pm বর্ধমান
KHANDAGHOSH. ই টেন্ডার করেই সফলতা : বার্ষিক ২ কোটি টাকায় টোল আদায়কারী চিহ্নিত করলো পঞ্চায়েত


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  এক আধ টাকার চুক্তি নয়।গ্রাম পঞ্চায়েতকে বৎসরিক প্রায় ২ কোটি টাকা দেবার শর্তে বালির গাড়ি থেকে টোল আদায়ের বরাত  পেল একটি সংস্থা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবেই এমন নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের শশঙ্গা পঞ্চায়েত।আবার এর ঠিক উল্টোটাই ঘটেছে একই ব্লকের লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েত। তাঁরা   অনেক কম টাকার চুক্তিতে নির্বাচিত করেছে বালির গাড়ি থেকে টোল আদায়কারী। কেন  লোদনা পঞ্চায়েত এত কম টাকার চুক্তিতে বালির গাড়ির টোল আদায়কারী নির্বাচন  করলো তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন  । 

প্রতিদিন শয়ে শয়ে বালি বোঝাই ট্রাক ও লরি যাতায়াত করে খণ্ডঘোষের লোদনা ও শশঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা দিয়ে । ভারি লরি যাতায়াের জন্য রাস্তার ক্ষতি হলে তা মেরামত করার জন্য পঞ্চায়েতকেই অর্থ ব্যয় করতে হয় । তাই এই দুই পঞ্চায়েত তাঁদের এলাকার রাস্তা দিয়ে  চলাচলকারী বালি বোঝাই ট্রাক ও লরি থেকে টোল আদায়ের ব্যাপারে  সিদ্ধান্ত নেয়।   সেই মত খণ্ডঘোষের লোদনা ও শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ পঞ্চায়েত আইনের ১৩২ (ঘ) ধারা মতে টোল দায়কারী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় ।পঞ্চায়েত গুলি দরপত্র জমা দেবার আহ্বান জানায় । কয়েকমাস আগে  স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত চুক্তি করে লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েত একটি সংস্থাকে  তাঁদের এলাকার বালির গাড়ি থেকে টোল আদায়ের অনুমতি দেয় । চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয় ওই সংস্থা ৩ বছরের জন্য লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েতকে ১৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেবে।  এর ঠিক পাঁচ মাস বাদ শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত  তাঁদের এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বালির লরি থেকে টোল আদায়কারী নির্বাচনের জন্য ই- টেন্ডার করে ।এক বছরর জন্য ১ কোটি ৯৯ লক্ষ৫০ হাছার টাকা দেবার শর্তে শশঙ্গা পঞ্চায়েত গত ১৪ ডিসেম্বর টোল আদায়কারী সংস্থাকে  নির্বাচিত  করেছে।  টোল আদায়কারী নির্বাচনের  দরে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এত বিপুল অর্থের ফারাক কি কারণে হল তা নিয়েই  প্রশ্ন তুলেছেন খণ্ডঘোষের বাসিন্দারা । খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য অপার্থিব ইসলাম এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চান নি ।তিনি বলেন , ’ওটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যাপার । পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এর উত্তর দিতে পারবে’। প্রকৃত কত টাকার বিনিময়ে ও কি শর্তে লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েত বালির গাড়ি থেকে টোল আদারকারী নির্বাচন করেছে তা জানার জন্য প্রধান অঞ্জু সাঁতরা কে ফোন করা হয় । উত্তরে তিনি বলেন , “মনে নেই । চক্তিপত্র না দেখে বলতে পারবো না । তিন বছরের জন্য ১৫ লক্ষ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে লোদনা পঞ্চায়েত টোল আদায়কারী নির্বাচন করেছে তা প্রধানকে বলা হলে  তিনি বলেন, “হ্যাঁ” । এর পর প্রধান অঞ্জু সাঁতরার কাছে জানতে চাওয়া হয় একই ব্লকের শশঙ্গা পঞ্চায়েত এক বছরের প্রায় ২ কোটি টাকার চুক্তিতে টোল আদায়কারী নির্বাচন করছে । তাহলে আপনাদের পঞ্চায়েত কেন এত কম টাকায় টোল আদায়কারীর সঙ্গে  চুক্তি করলো?এর উত্তরে প্রধান বলেন ,এত কথার উত্তর দিতে পারবেন না । উত্তর পাবার জন্য তিনি তাঁর পঞ্চায়েত অফিসে যাবার কথা বলে পাশ কাটান“ । অপর দিকে শশঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ ঘোষ বলেন ,“পঞ্চায়েত অফিসে বসে স্ট্যাম্প পেপারে  চুক্তি করে তাঁরা টোল আদায়কারী নির্বাচন করার পথে যান নি । ই- টেন্ডার করে টোল আদায়কারী নির্বাচন করেছেন । তাতেই বিশেষ সফলতা পেয়েছেন। ১ বছরের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা দেবার শর্তে মনোনিত হয়েছেন তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকার টোল আদায়কারী । প্রকাশবাবু এও বলেন ,এই অর্থে তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকার প্রভূত উন্নয়ন কাজ  সম্পন্ন করা সম্ভব হবে“ ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।